বইয়ের প্রেক্ষাপট ও রচনার ইতিহাস:
শৈশব থেকে সংগ্রামী জীবনের চিত্র:
বইটিতে খোকা থেকে শেখ মুজিব হয়ে ওঠার গল্প অত্যন্ত চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে। তাঁর শৈশব, শিক্ষাজীবন এবং অল্প বয়স থেকেই রাজনীতির প্রতি তাঁর যে অনুরাগ, তা পাঠকদের অনুপ্রাণিত করে। বিশেষ করে ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষ, ১৯৪৭ সালের দেশভাগ এবং ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা এবং জেল-জুলুম সহ্য করার বাস্তব চিত্র এখানে নিখুঁতভাবে চিত্রিত হয়েছে।
আদর্শ ও মানবিকতা:
রাজনীতি মানে যে কেবল ক্ষমতা নয়, বরং মানুষের সেবা করা—এই আদর্শই বইটির মূল শিক্ষা। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর প্রতি তাঁর অগাধ শ্রদ্ধা এবং সাধারণ মানুষের প্রতি তাঁর গভীর ভালোবাসা বইটির পরতে পরতে মিশে আছে। বঙ্গবন্ধু তাঁর লেখায় নিজের ভুলত্রুটিগুলোকেও অকপটে স্বীকার করেছেন, যা একজন মহান নেতার অনন্য গুণ।
কেন "অসমাপ্ত আত্মজীবনী" পড়বেন?
১. সঠিক ইতিহাস জানা: ১৯৪৭ পূর্ববর্তী ভারতের মুসলিম লীগ রাজনীতি এবং ১৯৫২-র ভাষা আন্দোলনের অন্তরালের ঘটনাগুলো জানতে এই বইটির বিকল্প নেই। ২. রাজনৈতিক প্রজ্ঞা: একজন তৃণমূল নেতা কীভাবে জাতীয় নেতায় রূপান্তরিত হন, সেই সংগ্রাম এই বই থেকে শেখা যায়। ৩. সরল ভাষা: বইটির ভাষা অত্যন্ত সহজ এবং প্রাঞ্জল, যা সাধারণ পাঠকদের হৃদয়ে সহজেই গেঁথে যায়।
bnebooks-এর পাঠকদের জন্য শেষ কথা:
যারা ইতিহাস ও রাজনীতি পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য "অসমাপ্ত আত্মজীবনী" একটি অবশ্যপাঠ্য গ্রন্থ। এই বইটি পড়লে আপনি কেবল বঙ্গবন্ধুকে জানবেন না, বরং বাঙালির জাতিগত পরিচয়ের শেকড়কেও নতুনভাবে চিনবেন।

