বইটির মূল বিষয়বস্তু:
হকিং এই বইটিতে বিগ ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণ থেকে শুরু করে আধুনিক কোয়ান্টাম মেকানিক্স পর্যন্ত বিজ্ঞানের জটিল তত্ত্বগুলো আলোচনা করেছেন। সাধারণ পাঠকদের কথা মাথায় রেখে তিনি গাণিতিক সমীকরণ এড়িয়ে কেবল যুক্তি এবং উদাহরণের মাধ্যমে মহাবিশ্বের গঠন ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি দেখিয়েছেন কীভাবে মহাকর্ষ বল এবং সময় একে অপরের সাথে মিশে আছে।
মহাকাশ ও সময়ের ধারণা:
বইটির একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে ব্ল্যাক হোল নিয়ে হকিংয়ের বৈপ্লবিক চিন্তাধারা। তিনি ব্যাখ্যা করেছেন যে ব্ল্যাক হোল থেকে কোনো কিছু বের হতে না পারলেও সেখান থেকে এক ধরণের বিকিরণ নির্গত হয়, যা এখন 'হকিং রেডিয়েশন' নামে পরিচিত। এছাড়া 'সময়ের তীর' (Arrow of Time) এর ধারণা দিয়ে তিনি বুঝিয়েছেন কেন সময় কেবল সামনের দিকেই বয়ে যায়, পেছনে নয়।
কেন এটি একটি অসামান্য সৃষ্টি?
বইটির বিশেষত্ব হলো এর প্রাঞ্জল ভাষা। হকিং এমনভাবে জটিল বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন যাতে কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাকগ্রাউন্ড ছাড়াই একজন সাধারণ পাঠক মহাবিশ্বের বিশালতা উপলব্ধি করতে পারেন। বইটির শেষে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন—আমরা কি কখনো স্রষ্টার মন (Mind of God) পড়তে পারব? অর্থাৎ বিজ্ঞানের মাধ্যমে কি মহাবিশ্বের চূড়ান্ত সূত্র খুঁজে পাওয়া সম্ভব?
কেন "এ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম" পড়বেন?
১. প্রাথমিক ধারণা: জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং মহাকাশ গবেষণার মৌলিক বিষয়গুলো সহজে বোঝার জন্য এটি একটি সেরা গাইড।
২. চিন্তার খোরাক: মহাবিশ্বে আমাদের অবস্থান এবং অস্তিত্ব নিয়ে এটি আপনাকে গভীরভাবে ভাবতে বাধ্য করবে।
৩. বিজ্ঞানভীতি দূর করা: যারা বিজ্ঞানকে কঠিন মনে করেন, তাঁদের জন্য এই বইটি একটি নতুন জানালার মতো কাজ করবে।
bnebooks-এর পাঠকদের জন্য শেষ কথা:
আপনার ভাবনার জগৎকে যদি নক্ষত্র থেকে নক্ষত্রপুঞ্জ পর্যন্ত প্রসারিত করতে চান, তবে স্টিফেন হকিং-এর এই মাস্টারপিসটি আপনার বুকশেলফে থাকা বাধ্যতামূলক। এটি কেবল একটি বই নয়, বরং অজানাকে জানার এক মহাজাগতিক আমন্ত্রণ।

