লিখেছেন: মাসুম আহমেদ আদী
স্পয়লার এলার্টঃ যারা এখনও "শী" পড়েননি তারা এই রিভিউ পড়বেন না।
বইঃ রিটার্ন অভ শী
লেখকঃ স্যার হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড
রূপান্তরঃ নিয়াজ মোরশেদ
প্রকাশকালঃ ১৯৮৬
প্রকাশকঃ সেবা প্রকাশনী
মূল্যঃ ৮৮ টাকা (দুই খন্ড একত্রে)
রিভিউঃ
সময়কে জয় করা অনন্তযৌবনা আয়শা একটা ভুলের কারনে তার অমরত্ব হারিয়ে মৃত্যুবরণ করে। তার এই মৃত্যুকে মেনে নিতে পারেনি লিও এবং হোরেস হলি। অমর আয়শার মৃত্যুতে ভেঙ্গে পড়ে দুজনেই। তারপর সেই কোরের গুহা থেকে ইংল্যান্ডে ফিরে আসতে তাদের অনেক সময় লাগে। মাঝখানে ৬ মাস তারা বন্দি ছিল এক জংলি রাজ্যে। ইংল্যান্ডে ফিরে এসে হতাশায় দিন কাটছিল লিও এবং হলির। আয়শা মৃত্যুর আগে বলেছিল সে আবার ফিরে আসবে, পুনর্জন্ম নিয়ে। তার অপেক্ষায় থেকে থেকে প্রায় পাগলপারা লিও। হতাশায় যখন সিদ্ধান্ত নিল আত্মহত্যা করবে, তখন স্বপ্নে দেখা পেল আয়শার।
স্বপ্নে আয়শা একটা জায়গার দিক নির্দেশনা দিল। হিমালয়ের পাদদেশে অর্ধচন্দ্র আকৃতির একটা মঠ পার হয়ে একটা পাহারচূড়ার উপর থেকে একটা আলো দেখতে পায় লিও। আলোটা আসছে ক্রুক্স আনসাতা, মানে মিশরীয় জীবনের প্রতিকের মত দেখতে একটা আংটার মধ্য দিয়ে। সেই আংটার মত দেখতে পাহারচূড়ায় যাওয়ার নির্দেশ পায় লিও।
অতঃপর বেরিয়ে পড়ে লিও আর হলি। মধ্য এশিয়ায় প্রায় ১৬ বছর ঘুরে ঘুরে অবশেষে ওরা অর্ধচন্দ্রাকৃতি মঠটার দেখা পায়। সেখানে কিছুদিন থেকে সামনের পাহাড়চূড়ায় উঠে অবশেষে দেখতে পায় কাংখ্যিত সেই পাহাড়। কিন্তু যাবে কিভাবে ওখানে? পথটা যে দুর্গম। প্রায় ২০ বছর ঘুরে ঘুরে যার দেখা পায় ঐ পাহাড়ে, সেই কি আয়শা? যার জন্য ব্যাকুল হৃদয়ে এতদিন অপেক্ষা করেছিল লিও? আয়শা কে দেখামাত্র চিনতে পারার কথা না লিও'র? চিনতে পারছেনা কেন ও? কি সেই রহস্য?
২০০০ বছর আগে কি ঘটেছিল আসলে? আয়শাই বা কিভাবে অমরত্ব লাভ করেছিল? এখানে আমেনার্তাস এর ভূমিকা কি? সব রহস্যের সমাধান পাওয়া যাবে, ধৈর্য ধরুন।
ব্যক্তিগত মতামতঃ
মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পড়েছি পুরোটা বই। একবার জাস্ট প্রথম পাতা টা পড়লে, বাকিটা শেষ না করে উঠতে পারবেন না। ধর্ম, প্রেম, প্রতিশোধ এবং রাজ্যজয়ের এক অপূর্ব মিশেল এই বই।
0 Comments