Ad Code

Responsive Advertisement

বুক রিভিইউ: উইদারিং হাইটস - এমিলি ব্রন্টি

উইদারিং হাইটস / এমিলি ব্রন্টি

লিখেছেন: সোহানা রহমান

এমিলি ব্রন্টি মাত্র ৩০ বছর বয়সে মারা যান। তিনি মারা যাওয়ার আগে কেউ জানতই না এই চুপচাপ থাকা একাকী মেয়েটি লেখালেখি করে। সম্ভবত ২৬ বছর বয়সে তিনি উইদারিং হাইটস লেখেন। অদ্ভুত ধরনের এক প্রেমের গল্প এই উইদারিং হাইটস।


নায়ক হিথক্লিফ আর নায়িকা ক্যাথেরিন ছোট বেলায় একসাথে মানুষ হয়েছে। ক্যাথেরিনের বাবার পালক ছেলে হলেও হিথক্লিফ মোটেই ক্যাথেরিনের ভাই না। বরং তারা বড় হয় বন্ধু হয়ে। অদ্ভুত ধরনের সেই বন্ধুত্ব। কথা না বলেও একসাথে কাটিয়ে দেওয়া যায় ঘন্টার পর ঘন্টা, ভালোবাসা আছে, সে ভালোবাসা ভয়ঙ্কর। কৈশরের শুরুতে যখন সবে ক্যাথেরিনের প্রতি বন্ধুত্বের চেয়ে একটু বেশি কিছু অনুভব করতে থাকে হিথক্লিফ, তখনই এডগার লিনটনের আগমন। এডগার, ক্যাথরিন আর হিথক্লিফের মনের অসহনীয় যুদ্ধে জয় লাভ করে এডগার। ভালোবাসা হিথক্লিফের প্রতি থাকলেও ক্যাথরিন বিয়ে করে এডগারকে। বিয়ের কিছুদিন আগেই হিথক্লিফ কোথায় চলে যায়।

বছর দুয়েক পরে যখন হিথক্লিফ ফিরে আসে তখন সে মহাধনী, মহা ক্ষমতাশালী। ধীরে ধীরে সে গ্রাস করে আশেপাশের সমস্ত মানুষকে।

তারপর? হিথক্লিফ কি পায় তার আত্মার সঙ্গী ক্যাথরিন কে?

প্রেম, হিংসা, ক্ষমতা, দম্ভ, আকর্ষন, সর্বোপরি অসহায়ত্বের করুন এক চিত্র এই গথিক উপন্যাসটি। আমার সবচেয়ে প্রিয় উপন্যাস। কতবার পড়েছি তার হিসাব নেই। হিথক্লিফের মত এতো স্ট্রং চরিত্র ইংরেজি সাহিত্যে বড় একটা নেই। তাই তো প্রথম প্রকাশনার ১৬৬ বছর পরেও মানুষ এখনও পড়ে এই গল্পটি। আমার ইচ্ছা আছে এই উপন্যাস নিয়ে এম এ এর থিসিস পেপার জমা দিব।

যারা পড়েননি তারা অবশ্যই পড়ে ফেলেন উপন্যাসটি। সেবা প্রকাশনীর চমৎকার অনুবাদ সবার ভালো লাগবে আশা করছি। ভালো থাকবেন।

Post a Comment

0 Comments

Close Menu