Ticker

50/recent/ticker-posts

আহমেদ ছফার সমগ্র বই pdf Download

আহমেদ ছফার সমগ্র বই pdf Download 




আহমদ ছফা (৩০ জুন ১৯৪৩ - ২৮ জুলাই ২০০১) একজন বাংলাদেশি লেখক, ঔপন্যাসিক, কবি, চিন্তাবিদ ও গণবুদ্ধিজীবী ছিলেন। জাতীয় অধ্যাপকআব্দুর রাজ্জাক ও সলিমুল্লাহ খান সহ আরো অনেকের মতে, মীর মশাররফ হোসেন ও কাজী নজরুল ইসলামের পরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাঙালি মুসলমান লেখক হলেন আহমদ ছফা।তাঁর লেখায় বাংলাদেশি জাতিসত্তার পরিচয়
নির্ধারণ প্রাধান্য পেয়েছে। আহমদ ছফা সাহিত্যের প্রায় প্রতিটি শাখায় প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন দীপ্তময়ভাবে। গল্প, গান, উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ, অনুবাদ, ইতিহাস, ভ্রমণকাহিনী মিলিয়ে তিরিশটির বেশি গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর জীবদ্দশায় আহমদ ছফা রচনাবলি প্রকাশ শুরু হয়। তাঁর রচনাবলি ৯ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে। জীবিত থাকাকালীন আহমদ ছফা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কলাম লেখা অব্যাহত রেখেছিলেন।
আহমেদ ছফা

আহমদ ছফা রচনাবলী:


যদ্যপি আমার গুরু
লেখক: আহমদ ছফা
প্রচ্ছদ শিল্পী: কাইয়ুম চৌধুরী
ধরন: স্মৃতিচারণমূলক
প্রকাশিত: ১৯৯৮
প্রকাশক: মাওলা ব্রাদার্স
মিডিয়া ধরণ: PDF
পৃষ্ঠাসংখ্যা: ১১০ পৃষ্ঠা
ডাউনলোড লিংক: Click Here to PDF Download pdf

বাংলাদেশের জাতীয় অধ্যাপক ও সমসাময়িক কালের বিশিষ্ট পণ্ডিত অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের প্রসঙ্গে রচিত স্মৃতিচারণগ্রন্থ যদ্যপি আমার গুরু প্রকাশিত হয় ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে।

All


১) উপন্যাস সমগ্র  ডাউনলোড pdf


২) অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী  ডাউনলোড pdf
অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী (১৯৯৬) উপন্যাসটি ছফার ব্যক্তিগত প্রেমকে উপজীব্য করে রচিত। অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী পূর্বে একটা সাপ্তাহিক পত্রিকায় প্রাণপূর্ণিমার চান নামে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। ছফাঅর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরীকে তাঁর প্রেমের সৌধ হিসেবে কল্পনা করেছিলেন।

৩) গাভী বৃত্তান্ত  ডাউনলোড pdf Download
গাভী বিত্তান্ত (১৯৯৫) উপন্যাসের মূল কেন্দ্র একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, উপন্যাসের ভাষায়, 'দেশের সবচাইতে প্রাচীন এবং সম্ভ্রান্ত বিশ্ববিদ্যালয়' এবং মূল চরিত্র সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্বাচিত উপাচার্য মিঞা মোহাম্মদ আবু জুনায়েদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ পদে আবু জুনায়েদের আরোহন এবং এর আগে ও পরে শিক্ষক রাজনীতিকে ঘিরে ঘটনাচক্র উপন্যাসটির বিষয়বস্তু।

৪) নির্বাচিত প্রবন্ধ  ডাউনলোড pdf Download
৫)আহমদ ছফা রচনাবলী ৭ম খণ্ড ডাউনলোড pdf Download

৬) ওঙ্কার ডাউনলোড pdf Download

ওঙ্কার (১৯৭৫) ছফার দ্বিতীয় উপন্যাস। উনসত্তরের গণ-আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত ওঙ্কারে একটি পরিবারকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের তৎকালীন অস্থির রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থাকে ধারণ করেছেন লেখক। ওঙ্কারে বোবা বউয়ের 'বাঙলা' উচ্চারণের সমান্তরালে "জাতিসত্তার জাগরণের অন্তর্সত্য বিধৃত হয়েছে।" আখতারুজ্জামান ইলিয়াস লিখেছেন, ওঙ্কারে "ছফার কোন চরিত্রই শুধু একটি ব্যক্তি নয়, বহু কালের বহু মানুষের বহন করার শক্তি দিয়েই তিনি তাদের সৃষ্টি করেছেন।" ইলিয়াস আরো বলেন, একটি জনগোষ্ঠী থেকে পরিপূর্ণ একটি জাতিতে পরিণত হওয়ার সংকল্প ঘোষিত হয়েছে ওঙ্কারে।


৭)সাম্প্রতিক বিবেচনা: বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস  ডাউনলোড pdf Download

১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে দৈনিক গণকণ্ঠ-এ ধারাবাহিকভাবে বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস রচনা প্রকাশ করেন। 'বিতর্ক বা আলোড়ন সৃষ্টিকারী' এই প্রবন্ধের কারণে তৎকালীন সরকারের রোষে পড়তে হয় তাঁকে। বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস বইয়ে আহমদ ছফা বাঙালি চিন্তকদের সম্পর্কে যুক্তিসহ রূঢ় সব মন্তব্য করেছেন। সেই সময় দেশের প্রতিষ্ঠিত-অপ্রতিষ্ঠিত লেখক-বুদ্ধিজীবীরা প্রতি সপ্তাহের কিস্তির দিকে তাকিয়ে থাকতেন আগ্রহ এবং আতঙ্ক নিয়ে। আহমদ ছফার সর্বাধিক আলোচিত সাত চল্লিশের দেশভাগ থেকে শুরু করে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ—দীর্ঘ এ কালখণ্ডে বুদ্ধিজীবীরা কীভাবে আত্মবিক্রির প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছিলেন, কীভাবে পুরস্কার, পদক -পদবির জন্য মরিয়া ছিলেন, তা তথ্য উপাত্তসহ উপস্থাপন করেছেন। ছফার ভাষায়, 'আগে বুদ্ধিজীবীরা পাকিস্তানি ছিলেন, বিশ্বাসের কারণে নয়—প্রয়োজনে। এখন অধিকাংশ বাঙালি হয়েছেন—সেও ঠেলায় পড়ে।' দেশস্বাধীন হওয়ার আগে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর পক্ষে প্রবন্ধ-নিবন্ধ রচনা, গল্প-উপন্যাসে পাকিস্তান প্রশস্তি, স্বৈরশাসকের জীবনী অনুবাদ—এসব বিষয়কে ছফা দেখেছেন লেখকদের মেরুদণ্ডহীনতার চূড়ান্ত প্রমাণ হিসেবে। একইসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগমুহূর্তে লেখকসমাজের নিষ্ক্রিয়তা, যুদ্ধের সময় দ্বিধান্বিত ভূমিকা, ভারতে পালিয়ে বেড়ানো, ভোগবিলাসে মত্ত থাকার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ছফা তুলে ধরেছেন, স্বাধীনতাপূর্ববর্তী বাংলাদেশের লেখকসমাজ কতটা অপরিণামদর্শী ও অদূরদর্শী ছিলেন। ছফা বলেন, সুবিধাবাদী বুদ্ধিজীবীরা ‘প্রয়োজনে-ঠেলায়’ পড়ে বিশেষ বিশেষ ঘটনার আগে যে ধরনের বক্তব্য-বিবৃতি দেন, ঘটনার পরে লেখেন তার উল্টো কাসুন্দি। ফলে তাদের কোনো চিন্তা-কর্ম-উপদেশ সমাজের বিশেষ কোনো কাজে আসে না। তাই ছফা বলেন, বুদ্ধিজীবীরা যা বলতেন, শুনলে বাংলাদেশ স্বাধীন হত না। এখন যা বলছেন, শুনলে বাংলাদেশের সমাজ-কাঠামো আমূল পরিবর্তন হবে না।

 ৮)যদ্যপি আমার গুরু ডাউনলোড pdf Download
বাংলাদেশের জাতীয় অধ্যাপক ও সমসাময়িক কালের বিশিষ্ট পণ্ডিত অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের প্রসঙ্গে রচিত স্মৃতিচারণগ্রন্থ যদ্যপি আমার গুরু প্রকাশিত হয় ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে।

৯) হারানো লেখা  ডাউনলোড pdf Download

বাঙালি মুসলমানের মন pdf download

বাঙালি মুসলমানের মন
লেখক: আহমদ ছফা
ধরন: প্রবন্ধসংকলন
প্রকাশিত: ১৯৮১
প্রকাশক: বাংলা একাডেমী
ডাউনলোড লিংক: Click here to download

পটভূমি
"বাঙালি মুসলমানের মন" শীর্ষক প্রবন্ধটি একটি বিশেষ কারণে লিখিত। স্বঘোষিত নাস্তিক ছিলেন আবুল ফজল (সাহিত্যিক) একদিন সকালে তিনি আবুল ফজলকে টুপি পরে সিরাত অনুষ্ঠানে যাওয়া দেখে বিস্মিত হন। জিয়াউর রহমান সরকারের তখন তিনি উপদেষ্টাও ছিলেন। আবুল ফজলের বদলে যাওয়াটাকে তিনি বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে না করে এর কার্যকারণ সন্ধানের চেষ্টা করেন। আবুল ফজলের পরিবর্তিত রূপ তার মধ্যে প্রচণ্ড রকম আলোড়ন সৃষ্টি করে। সেই আলোড়ন নিয়ে এক রাতে ‘বাঙালি মুসলমানের মন’ শীর্ষক প্রবন্ধটি লেখেন। 

বিষয়বস্তু
“ যে জাতি উন্নত বিজ্ঞান, দর্শন এবং সংস্কৃতির স্রষ্টা হতে পারে না, অথবা সেগুলোকে উপযুক্ত মূল্য দিয়ে গ্রহণ করতে পারে না, তাকে দিয়ে উন্নত রাষ্ট্র সৃষ্টিও সম্ভব নয়। যে নিজের বিষয় নিজে চিন্তা করতে জানে না, নিজের ভালোমন্দ নিরূপণ করতে অক্ষম, অপরের পরামর্শ এবং শোনা কথায় যার সমস্ত কাজ-কারবার চলে, তাকে খোলা থেকে আগুনে কিংবা আগুন থেকে খোলায়, এইভাবে পর্যায়ক্রমে লাফ দিতেই হয়। ”
—"বাঙালি মুসলমানের মন"

"বাঙালি মুসলমানের মন"-এর মূল বিষয়বস্তু হল বাঙালি মুসলমানের প্রকৃত স্বরূপ অন্বেষণ। বাঙালি মুসলমান আসলে কারা, আর তাদের মনের রূপায়ন কোন কোন সমাজ-সাংস্কৃতিক অভিঘাতে গড়ে উঠেছে, সেক্ষেত্রে বাঙালি মুসলমান একত্রে বাঙালি আর মুসলমান হওয়ার জন্যে যে সংকট অনুভব করে ঐতিহাসিক পটভূমিকায় এর একটি সামাজিক সাংস্কৃতিক রূপান্তর ছফা আলোচনা করেছেন। বৌদ্ধধর্ম যুগের রাজত্ব অবসানের পরে মুসলিম বিজয়ের সময়ে এদেশের বড় সংখ্যার একটি বৌদ্ধ এবং হিন্দুদের অন্ত্যজ (ডোম, হড্ডি, হরিজন ইত্যাদি) জনগোষ্ঠী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। শত বছরের ইতিহাসে রক্তে এসেছে স্রোত। এক রক্ত আরেক রক্তের সাথে মিশে সৃষ্টি করেছে নতুন জনগোষ্ঠী।

বাঙালি মুসলমানের মনের রূপরেখার সূচক হিসেবে পুঁথি সাহিত্য ও ভাষা বিশ্লেষণ করেছেন ছফা। পুঁথি সাহিত্য বাংলা সাহিত্য সম্ভারের একটি নবতর দিক উন্মোচন করে। একটি সমাজে দুইটি শ্রেণির বাস্তবতায় কোন অংশের জন্যে এই পুঁথি রচিত হয়েছিল, তাদের সামাজিক প্রয়োজন কী ছিল, সেক্ষেত্রে কোন প্রেক্ষাপটে তাদের নিজস্ব ভাষিক পরিমন্ডলে অন্য সংস্কৃতির আবাহন তৈরি হয়েছিল, মুসলিম শাসনের নেতৃস্থানীয়দের সঙ্গে বাঙালি মুসলমানের যে ভিন্নতা, এটা নৃতাত্ত্বিক ও সমাজতাত্ত্বিক আলোচনার বিষয়। পুঁথি সাহিত্য ধর্মীয় কাহিনীতে ভাস্বর। এক্ষেত্রে এ ধর্মীয় কাহিনীগুলোর চরিত্রগুলো অলৌকিক মহিমায় উজ্জ্বল। এ গ্রন্থটি মনোসমীক্ষণধর্মিতার পরিচয় বহন করে। মানুষের বিশ্বাসের জগতে এই অলৌকিক বর্ণনা কেন মানুষের যৌক্তিক ব্যাখ্যার দ্বার খুলতে পারে না, এ বিষয়গুলো সর্বদা সাধারণের মনে প্রশ্ন হিসেবে বিরাজ করে। ছফা দেখিয়েছেন, মধ্যযুগে সৃষ্ট এ সাহিত্যকর্মগুলোর নতুন সামাজিক চাহিদার দরুন তৈরি হয়েছিল। ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে মুসলমানদের তুলনায় হিন্দুরা অধিক সাংস্কৃতিক পরিবেশ লাভ করে। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে সাথে মুসলমানদের সঙ্গে হিন্দুদের সংঘাতের সৃষ্টি ও আত্মরক্ষার প্রয়োজনে সামাজিক পরিবর্তন ও নবতর মূল্যচেতনায় সমাজের গতিপথ পরিবর্তিত হয়েছে। পুঁথি সাহিত্য, দোভাষী সাহিত্যগুলো এ ধারাবাহিকতায় সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে হিন্দুদের সঙ্গে মুসলমানদের সংস্কৃতিগত বিভেদ তৈরি না হলেও মুসলমানরা নিজেদের সংস্কৃতিকে নিজেদের মত করে রূপান্তরিত করেছিলেন। এরপর ইংরেজ সময়ে দেখা যায়, একটি অভিজাত হিন্দু শ্রেণি সমাজে মাথাচারা দিয়ে ওঠে। এক্ষেত্রে মুসলমানদের অংশগ্রহণ না থাকার কারণ হিসেবে ইংরেজদের অন্ধবিদ্বেষ থেকে গড়ে তোলা ‘ডিভাইড এন্ড রুল পলিসি’-কে দায়ী করলেও, এটার মধ্য দিয়ে মুসলিম সমাজের পিছিয়ে থাকার কারণ ব্যাখ্যা করা যায় না। অনেকটা বলা যায়, সেই সুপ্রাচীন সময় থেকে বারবার ধর্ম পরিবর্তন করার ফলে বাইরের দিক ছাড়া তাদের বিশ্বাস এবং মানসিকতার মৌলবস্তুর পরিবর্তন ঘটেনি। আজ অবধি বাঙলী মুসলমানের চিন্তাধারার মূল কাঠামোটি রয়ে গেছে অপরিবর্তিত। আর সেই কথাই ছফা প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন নিজস্ব যুক্তি, বিশ্লেষণ আর দর্শনের মধ্য দিয়ে।

Post a Comment

1 Comments

  1. ফাউস্টের পিডিএফ লিংটা দিতে পারবেন প্লিজ।

    ReplyDelete