Ad Code

Responsive Advertisement

নির্বাসন pdf download


নির্বাসন

লেখক :হূমায়ুন আহমেদ।

ক্যাটাগরি :উপন্যাস।
Pdf download: Click Here
নির্বাসন - হুমায়ুন আহমেদ

সারসংক্ষেপ 
কিভাবে শুরু করবো গুছিয়ে উঠতে পারছি না।খুব মন খারাপ হবে বইটা পড়ে।চোখে জল আসাটাই স্বাভাবিক। এমনি এক উপন্যাস "নির্বাসন"। হুমায়ুন আহমেদের সকল অমর রচনার একটি অনবদ্য অংশ। শুধু একটা দিনের গল্প বর্ণিত হয়েছে 'নির্বাসন' উপন্যাসে। 'জরী' মানে উপন্যাসের নায়িকার বিয়ের দিন। এই বিশেষ দিনটির একদম প্রথম প্রহর থেকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়া পর্যন্ত এই উপন্যাসের সময়কাল।
তবে বিয়ের দিনের বিভিন্ন ঘটনা ঘটতে থাকে, ফ্লাশব্যাকে ভাসে জরী, আনিস মানে গল্পের নায়কের সুখের দিন বা দুঃখের ঘটনা প্রবাহ। নির্বাসন’ উপন্যাসের নায়িকা বা মনে দাঁগ কেটে যাওয়া একটি নাম জরী। যে দিনের ঘটনা নিয়ে এ উপন্যাস রচিত হয়েছে সে দিনটি জরীর বিয়ের দিন। সেদিন জরীর বিয়ে হচ্ছিলো একটি অচেনা মানুষের সাথে। সারাবাড়ি হৈ চৈ, আনন্দের বন্যা। অথচ যাকে নিয়ে এত আয়োজন সে নির্বাসনে যাচ্ছিলো। এক বুক ব্যাথা নিয়ে। অব্যাক্ত ব্যাথা। তবুও সকল বাঁধা বিপত্তি পেরিয়ে জরী আনিসের প্রেম সফলতার মুখ দেখতে তেমন কোনো বাঁধা হয়ে দাঁড়াতো না। কারণ আনিস ছিলো সফল একজন আর্মি অফিসার। তার যোগ্যতায় সে জরীকে বিয়ের প্রস্তাব করতে কোনো দিকেই বিফল হবার কথা ছিলোনা। কিন্তু এরই মাঝেই এল একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ । আর তাতে একটি দুর্ঘটনা কেড়ে নিলো তাদের সুখের স্বপ্নটিকে। আনিস মারাত্বক আহত হলো। বাড়ীর কোনার একটি ঘরেই কাটে তার নির্বাসিত জীবন। যে জীবনে আশা নেই, ভবিষ্যৎ নেই, প্রিয়তমাকে চাইবার দাবীর কোনো ভাষা নেই। আনিসের কষ্ট কিংবা জরীর কষ্ট আঘাত হয়ে এসে লাগে আমাদের বুকে। দেশমাত্রিকার টানে ছুটে গিয়েছিলো যে একদিন জীবনের মায়া উপেক্ষা করে সেই সাহসী মানুষটিকে ভীতুর মত মুখ বুজে থাকতে হয়। নিয়তির করাল গ্রাসে এক সাহসী যোদ্ধার অনাকাঙ্ক্ষিত নির্বাসন হয়। এই উপন্যাসে বিয়ের দিনের ঘটনায় দেখা যায়, বিয়ে-বাড়ির হই-হুল্লোড়ের মাঝে কোনার একটা ঘরে আনিস অসহায়ের মত পড়ে থাকে। নির্বাসন" শব্দটির মাঝেই যেন জড়িয়ে আছে একরাশ বিষন্নতা বা অভিমান। শুনেছি আগেকার দিনে দুর্ধর্ষ অপরাধীকে নির্বাসন দেওয়া হত যেখানে মানুষকে নির্বাসনে যেতে হত সম্পূর্ণ তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে। অনিচ্ছা সত্বেও পাঠানো হত নির্বাসনে বা কালাপানি দীপান্তরে। তবে সে যুগ আমার দেখা নেই, শুধুই শুনেছি তেমন নির্বাসনের কথা। আমার কাছে নির্বাসন মানে অনেক অভিমানে নিজেকে নিজেই নির্বাসন দেওয়া বা দূরে সরিয়ে নেওয়া। কিন্তু হুমায়ূন আহমেদের লেখা 'নির্বাসন" উপন্যাসের জরী তাকে নিজেই নির্বাসন দিয়েছিলো নাকি নির্বাসিত হতে বাধ্য হয়েছিলো তা পুরোটা বুঝে উঠতে পারিনা আমি "নির্বাসন" বইটি পড়ে।অবশেষে বলবো অসম্ভব মন খারাপের একটি বই।বারবার বলতে ইচ্ছে হয় এই রকম শেষ না হলে ভাল হতো।

Post a Comment

0 Comments

Close Menu