কয়েদী ৩৪৫-
হেরে গেলো এমেরিকা!
চুম্বক অংশগুলো তুলে ধরছি যাস্ট।
বইটি মূলত বইটির লেখকের গুয়ান্তানামোতে যাওয়া এবং সেই সেলের টর্চার এবং গুয়ান্তানামো থেকে লেখক মুক্ত কিভাবে হলো তাই নিয়ে।
লেখক সামি আল জাজিরার সাংবাদিক,
আফগানিস্তান, এমেরিকা যুদ্ধ কালীন আফগানিস্তানে যান যুদ্ধের খবর সংগ্রহ করতে।
সেখান থেকেই পাকিস্তানি বর্ডার গার্ড সামিকে আটক করে এমেরিকানদের হাতে তুলে দেয়।
সামি বলেছিলো আমার প্রাণ চলে গেলেও আমার এত কষ্ট লাগত না!
কিন্তু পাকিস্তানিরা আমার মুসলিম ভাই হয়ে এই জীবন্ত নরক এমেরিকানদের হাতে কিভাবে তুলে দিলো আমাকে?
সামিকে গুয়ান্তানামোতে নেয়ার পর বিভিন্ন শাস্তি দিত।
নামাজ পড়তে অযুর পানি দিত না।
রোজার ইফতার দিত না।
কেউ গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে চিকিৎসা দিত ২ ভাবে!
১)হয় ভুল চিকিৎসা দিবে
২)ভুল সার্জারি করে দেহ ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে দেবে(এক জনের শরীরে প্রায় ৫০ টির মতো সার্জারি প্যাকটিস করেছিলো এমেরিকান ডাক্তারেরা)
সামিকে এমেরিকান সেনাবাহিনী বলল তোমার প্রটেকশন এমেরিকা দিবে তুমি যাস্ট আমাদের হয়ে কাজ করো।
সামির জবাব ঠিক এটাই ছিলো-
তোমরা যদি এতই শক্তিশালী হয়ে থাকো তাহলে আমার মতো মামুলী মানুষের কাছে সাহায্য চাও কেন?
এভাবেই সামির উপর নির্যাতন বাড়তে থাকে।
বিভিন্ন কারণে সামি সিদ্ধান্ত নেয় সে অনশনে বসবে।
৪৩৮ দিন অনশনে থাকার পর সামিকে মুক্ত করতে বাধ্য হয় এমেরিকা।
(অনশন কালে তাকে জোড় করে পাইপ ঢুকিয়ে খাবার খাওয়াতো)
ঠিক এভাবেই আমাদের মুসলমান যদি সত্যের উপর অটল থাকে তবে সেদিন বেশী দূরে নয় যে দিন সত্যের পতাকা উড়বে।
ইনশাল্লাহ
0 Comments