সবারই রয়েছে বিভিন্ন শখের লিস্ট। তেমনি বই প্রেমীদের রয়েছে বই এর লিস্ট। আর আপনি যদি সেই বইপ্রেমী হন, তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্যই। বিশ্বের সেরা লেখকের লেখা উপন্যাস, গল্প গুলো নিয়েই আজকের লেখা। বইপ্রেমী হন কিংবা না হন, সবার উচিৎ অবশ্যই ৩০টি বই পড়া। লিস্ট করেছেন সজল আহমেদ ও www.mujibsenanews.com
|
ড্যানিয়েল গোলম্যানের 'ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স' |
১. ড্যানিয়েল গোলম্যানের 'ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স' : এই বইয়ে মনোবিজ্ঞানী, লেখক এবং পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী উন্মোচন করেছেন ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্সের যত রহস্য। মানুষের জীবনের প্রতিটা পদক্ষেপে এটি কিভাবে কার্যকর হয় তাও জানিয়েছেন এখানে। কিভাবে এটি প্রভাব ছড়ায় এবং কিভাবে একে চরমে নিতে হয় তাও শেখানো হয়েছে।
|
মিহালি সিস্কোসজেনমিহালাই 'ফ্লো' |
২. মিহালি সিস্কোসজেনমিহালাই 'ফ্লো' : জীবনটাকে উপভোগ করার চাবিকাঠি কি? এটা আসলে স্রোত যা জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ইতিবাচক মনোবিজ্ঞান, সৃষ্টিশীলতা এবং উদ্দীপনা নিয়ে শীর্ষস্থানীয় গবেষকদের একজন মিহালি। জীবন, সম্পর্ক এবং গোটা বিশ্ব নিয়ে আত্মোন্নয়ন, আত্ম-সচেতনতা এবং সময় সম্পর্কে পরিষ্কার জ্ঞানের মাধ্যমে সফলতা আনার প্রক্রিয়া শেখানো হয়েছে বইটিতে।
|
ডেল কার্নেগির 'হাউ টু স্টপ ওরিং অ্যান্ড স্টার্ট লিভিং' |
৩. ডেল কার্নেগির 'হাউ টু স্টপ ওরিং অ্যান্ড স্টার্ট লিভিং' : নিজেকে উন্নত করার প্রক্রিয়া তুলে ধরেছেন এই বিখ্যাত লেখক। দুশ্চিন্তাকে দূর করে কিভাবে বাঁচার মতো বেঁচে থাকার সন্ধান মেলে তার উপায় বাতলে দিয়েছেন বইটিতে। কার্নেগি নিজের জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বইটি লিখেছেন।
|
ড্যানিয়েল পিঙ্কের 'ড্রাইভ |
৪. ড্যানিয়েল পিঙ্কের 'ড্রাইভ' : আধুনিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো অনুপ্রেরণার বিষয়টিকে ভুল ব্যাখ্যা করছে বা ভুল উপায়ে এর চর্চা চালিয়ে যাচ্ছে। এ বইয়ে অন্তর্মুখী এবং বহির্মুখী অনুপ্রেরণার কথা তুলে ধরা হয়েছে যা কোনো প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিতে পারে।
|
ক্লেটন এম ক্রিস্টেনসেন, জেমস অলওর্থ এবং কারেন ডিলিয়নের 'হাউ উইল ইউ মেজার ইওর লাইফ?' |
৫.ক্লেটন এম ক্রিস্টেনসেন, জেমস অলওর্থ এবং কারেন ডিলিয়নের 'হাউ উইল ইউ মেজার ইওর লাইফ?' : পেশা এবং ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য আনতে কি করবেন? এর সুষ্ঠু জবাব মিলবে এ বইয়ে। দীর্ঘমেয়াদি সুখ লাভের উপায় রয়েছে এতে। একজন শীর্ষস্থানীয় বিজনেস এক্সপার্ট হিসাবে তিনি পেশাগত জীবন এবং ব্যক্তিজীবনের মধ্যে সমন্বয়ের আদর্শ উপায় খুঁজে পেয়েছেন যার শিক্ষা দিয়ে বইটির মাধ্যমে।
|
ডেল কার্নেগির 'হাউ টু উইন ফ্রেন্ডস অ্যান্ড ইনফ্লুয়েন্স পিপল' |
৬. ডেল কার্নেগির 'হাউ টু উইন ফ্রেন্ডস অ্যান্ড ইনফ্লুয়েন্স পিপল' : নিজেকে অন্যের কাছে পছন্দনীয় করে তুলে ধরতে বইটি লেখকের ক্লাসিক উপহার। অন্যকে কিভাবে নিজের বন্ধুতে পরিণত করা যায় এবং তাদের সহায়তা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব, তার কার্যকর উপায় বলে দিয়েছেন তিনি।
|
রিচার্ড ওয়াইজম্যানের '৫৯ সেকেন্ডস' |
৭. রিচার্ড ওয়াইজম্যানের '৫৯ সেকেন্ডস' : এক মিনিটেরও কম সময়ে নিজের ভেতরে প্রবেশ করে অনেক কিছু বদলে দেওয়ার কিছু মৌলিক নিয়ম শিখিয়েছেন এই মনোবিজ্ঞানী। তাকে বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং উদ্ভাবনী গবেষক বলা হয়। এই বইয়ে যা লিখেছেন তার পেছনে বৈজ্ঞানীক গবেষণা রয়েছে।
|
স্কট জি হ্যালফোর্ডের 'অ্যাক্টিভেট ইওর ব্রেন' |
৮. স্কট জি হ্যালফোর্ডের 'অ্যাক্টিভেট ইওর ব্রেন' : বহু বৈজ্ঞানীক গবেষণার পরও মানুষের মস্তিষ্কের রহস্য এখনো পুরোপুরি উদঘাটিত হয়নি। তবুও বেশি কিছু মহা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিজ্ঞানীরা পেয়ে গেছেন। অর্থপূর্ণ এবং কার্যকরভাবে মস্তিষ্কের ব্যবহার শিখিয়েছেন লেখক। নিউরোসায়েন্সের যাবতীয় অগ্রগতি এখানে কার্যকর হয়েছে।
|
অ্যামি মোরিনের '১৩ থিংস মেন্টালি স্ট্রং পিপল ডোন্ট ডু' |
৯. অ্যামি মোরিনের '১৩ থিংস মেন্টালি স্ট্রং পিপল ডোন্ট ডু' : ব্যবসা করতে চান বা বই লিখতে। কিছু একটা আপনাকে আটকে রেখেছে? যদি তাই হয়, তবে সময় হয়েছে মানসিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠা। বইটিতে তিনি শক্ত মনের মানুষের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন। এর মাধ্যমে মনের যাবতীয় সীমাবদ্ধতা ভেঙে নতুনভাবে জীবনের পথে হাঁটা যাবে।
|
কেন রবিনসনের 'ফাইন্ডিং ইওর এলিমেন্ট' |
১০. কেন রবিনসনের 'ফাইন্ডিং ইওর এলিমেন্ট' : বিখ্যাত লেখক, বক্তা এবং শিক্ষক স্যার কেন রবিনসনের বইটিতে নিজের মধ্যকার সৃষ্টিশীলতা ও মেধা খুঁটিয়ে বের করে আনার পদ্ধতি শেখানো হয়েছে। এখানে নিজের উৎপাদনশীলতা বের করে আনার উপায় বাতলে দেওয়া হয়েছে যার মাধ্যমে মিলবে সুখ ও গুণগত জীবন। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার
১১.লিও তলস্তয়ের আনা কারেনিনা
রুশ লেখক লিও তলস্তয়ের ‘আনা কারেনিনা’ উপন্যাসটি ১৮৭৩ সাল থেকে ১৮৭৭ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পর্বে সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। বই হিসেবে এটি প্রকাশ পায় ১৮৭৮ সালে। এই উপন্যাসটি তলস্তয়ের প্রথম উপন্যাস বলে মনে করা হয়। দস্তয়ভস্কি তাঁর এই লেখাকে ‘শিল্পের নিখুঁত প্রকাশ’ বলে বর্ণনা করেছেন। ভ্লাদিমির নাবোকভও লেখাটিকে ‘তলস্তয় রীতির নিখুঁত জাদু’ বলে আখ্যায়িত করেছেন, আর উইলিয়াম ফকনার তো বলেছেন, ‘সেরা উপন্যাস’।
১২.গুস্তাভে ফ্লবার্টের মাদাম বোভারি
১৮৫৬ সালে প্রকাশিত ‘মাদাম বোভারি’ ফরাসি লেখক গুস্তাভে ফ্লবার্টের প্রথম উপন্যাস। গল্পটি এক চিকিত্সকের স্ত্রী, এমা বোভারিকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে, যিনি গতানুগতিক আর শূন্য জীবন থেকে পালাতে পরকীয়ায় জড়িয়ে গিয়েছিলেন। উপন্যাসটি ১৮৫৬ সালের ১ অক্টোবর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত লা রেভ্যু দ্য প্যারিসে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। এসময় আইন কর্মকর্তারা অশ্লীলতার অভিযোগ তুলেছিলেন এর বিরুদ্ধে। পরের বছর জানুয়ারি মাসে এ নিয়ে মামলার ফলে ব্যাপক পরিচিতি পেয়ে যায় উপন্যাসটি। রায়ে ফ্লবার্ট নির্দোষ বলে প্রমাণিত হওয়ার পর বইটি প্রকাশ পায় এবং সে বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যে সেরা বিক্রিত বইয়ের তালিকায় স্থান করে নেয়। এই উপন্যাসটি ফ্লবার্টের একটি মাস্টারপিস বলে মনে করেন সমালোচকেরা।
১৩.লিও তলস্তয়ের ওয়ার অ্যান্ড পিস
তলস্তয়ের এই উপন্যাসটি বিশ্বসাহিত্যের উল্লেখযোগ্যতম কাজ। এটি তাঁর নিখুঁত সাহিত্যগুলোর মধ্যে সেরা বলেও মনে করা হয়। এই উপন্যাসে পাঁচটি অভিজাত পরিবারের বয়ানের মাধ্যমে ফ্রান্সের রাশিয়া আক্রমণের ঘটনা এবং নেপোলিয়ান যুগে সিজারিক সমাজের ওপর প্রভাব আলোচিত হয়েছে। উপন্যাসটি বই আকারে ১৮৬৯ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। নিউজউইক ২০০৯ সালে বইটিকে সেরা ১০০ বইয়ের তালিকায় সবার ওপরে রাখে। ২০০৯ সালে টাইম ম্যাগাজিন ‘ওয়ার অ্যান্ড পিস’কে বিশ্বসাহিত্যের সেরা ১০ বইয়ের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রাখে।
১৪.ভ্লাদিমির নাবোকভের ললিতা
রাশিয়ান-আমেরিকান লেখক ভ্লাদিমির নাবোকভের ‘ললিতা’ উপন্যাস ১৯৫৫ সালে প্রকাশিত হয়। এই উপন্যাসটি তার বিতর্কিত বিষয়গুলোর জন্য আলোচিত। গল্পের প্রধান চরিত্র মধ্যবয়সী সাহিত্যের অধ্যাপক হামবার্ট তাঁর ১২ বছর বয়সী সেময়ের প্রেমে পড়েন এবং তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও গড়ে ওঠে তাঁর। উপন্যাসটি ইংরেজি ভাষায় লেখা হয় এবং প্যারিসে অলিম্পিয়া প্রেস ১৯৫৫ সালে এটি প্রকাশ করে। পরে লেখক নিজেই এটি রুশ ভাষায় অনুবাদ করেন এবং নিউ ইয়র্কে ফায়েদ্রা পাবলিশার্স ১৯৬৭ সালে উপন্যাসটি প্রকাশ করে। প্রকাশের পর খুব দ্রুতই সমালোচকদের নজর কাড়ে ললিতা। বর্তমানে এটি বিংশ শতাব্দির সেরা সাহিত্যকর্মের একটি বলে বিবেচিত হয়। বইটিকে উপজীব্য করে ১৯৬২ সালে এবং ১৯৯৭ সালে চলচ্চিত্রও নির্মিত হয়।
১৫.মার্ক টোয়েনের দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব হাকলবেরি ফিন
মার্ক টোয়েনের ‘অ্যাডভেঞ্চার অব হাকলবেরি ফিন’ ১৮৮৪ সালের ডিসেম্বর মাসে যুক্তরাজ্যে এবং ১৮৮৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত হয়। আমেরিকান সাহিত্যের সেরা কাজগুলোর একটি বলে মনে করা হয় এই বইটিকে। গল্পের চরিত্র হাকলবেরির বয়ানে ঘটনার বয়ান হয়েছে এতে। মিসিসিপি নদীর তীরের মানুষ আর স্থানগুলোর বর্ণিল বর্ণনার কারণেই পাঠকের মন জয় করেছে বইটি। বর্ণবাদ নিয়ে ব্যাঙ্গও বইটির সেরা তালিকায় স্থান করে নিতে সহায়ক হয়েছে।
১৬.উইলিয়াম শেক্সপিয়রের হ্যামলেট
নাট্যকার উইলিয়াম শেক্সপিয়র ‘হ্যামলেট’ ঠিক কবে লিখেছিলেন, তার সঠিক কোনো তারিখ পাওয়া যায় না। তবে মনে করা হয়, ১৫৯৯ সাল থেকে ১৬০২ সালের মধ্যে এটি রচিত। ডেনমার্কের রাজা হ্যামলেটকে হত্যা করে তাঁর ভাই ক্লদিয়াসের সিংহাসনে আরোহন, ভাইয়ের বিধবা স্ত্রীকে বিয়ে এবং তাঁর ভাতিজা যুবরাজ হ্যামলেটের প্রতিশোধ নেওয়ার ঘটনাগুলোই এই নাটকে বর্ণিত হয়েছে। হ্যামলেট শেক্সপিয়রের দীর্ঘতম নাটক এবং ইংরেজি সাহিত্যে সবচেয়ে শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী শোকবহ রচনা বলে পরিগণিত হয়।
১৭.স্কট ফিেজরাল্ডের দ্য গ্রেট গ্যাটসবাই
আমেরিকান লেখক এফ স্কট ফিেজরাল্ডের উপন্যাস ‘দ্য গ্রেট গ্যাটসবাই’ ১৯২৫ সালে প্রকাশিত হয়। এতে সমৃদ্ধ লং আইল্যান্ডের এক কল্পিত নগরীতে চরিত্রগুলোর বাস। ১৯২২ সালের এক গ্রীষ্মে ঘটনার সূত্রপাত। এতে প্রথমে রহস্যময় ধনী যুবক জে গ্যাটসবাই, তার খামখেয়ালি আর সুন্দরী ডেইজি বুচাননের প্রতি তার দুর্বলতাকে কেন্দ্র করে ঘটনা এগিয়ে গেছে। এই উপন্যাসে লেখক অবক্ষয়, আদর্শবাদ, সমাজে আকস্মিক পরিবর্তন, পরিবর্তনে প্রতিরোধ ইত্যাদি বিষয়ের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে।
১৮.মারসেল প্রোস্টের ইন সার্চ অব লস্ট টাইম
অতীত সময়কে বইয়ের পাতায় সংরক্ষণ করেছে মারসেল প্রোস্টের ‘ইন সার্চ অব লস্ট টাইম’। সাত খণ্ডের এই উপন্যাসটি এর দৈর্ঘ্যের জন্যও উল্লেখযোগ্য। এর অধ্যায়গুলোর মধ্যে মেডেলিনের অধ্যায়টি সেরা উদাহরণ হতে পারে, যা প্রথম খণ্ডেই সংযুক্ত হয়েছে। সি কে স্কট মনক্রিফ এবং টেরেন্স কিলমারটিন উপন্যাসটিকে ইংরেজিতে অনুবাদ করার পর এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ১৯০৯ সাল থেকে উপন্যাসটি রচনা শুরু করেন প্রোস্ট এবং ১৯২২ সালের শরতে অসুস্থ হয়ে পড়া পর্যন্ত তিনি এ নিয়ে কাজ করে গেছেন। ফ্রান্সে এটি ১৯১৩ সাল থেকে প্রকাশ হতে শুরু করে।
১৯.অ্যানটন শেকভের দ্য স্টোরিজ অব অ্যানটন শেকভ
ছোট গল্পের সেরা লেখক মনে করা হয় অ্যানটন শেকভকে। তিনি তাঁর গল্পে রাশিয়ার মানুষদের জীবন তুলে ধরেছেন। তাঁর লেখা গল্পগুলোর মধ্যে থেকে সেরা ৩০টি গল্প নিয়েই প্রকাশিত হয়েছে ‘দ্য স্টোরিজ অব অ্যানটন শেকভ’। দ্য হান্টসম্যান, আ বোরিং স্টোরি, ওয়ার্ড নম্বর সিক্স, দ্য লেডি উইথ দ্য লিটল ডগ—এই গল্পগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
২০.জর্জ ইলিয়টের মিডলমার্চ
গতাণুগতিক জীবনকে ঘিরে ইংরেজ লেখক জর্জ এলিয়ট রচনা করেছেন ‘মিডলমার্চ’। ১৮২৯ সাল থেকে ১৮৩২ সাল পর্যন্ত মিডলমার্চের কল্পিত নগর মিডল্যান্ডের ঘটনাবলি এই উপন্যাসে বর্ণিত হয়েছে। বেশ কয়েকটি গল্পের সমন্বয় ঘটেছে এখানে এবং অনেকগুলো প্রধান চরিত্রকে ঘিরে উপন্যাসটি সামনে বেড়েছে। এতে সমাজে নারীর অবস্থান, আদর্শবাদ, স্বার্থপরতা, ধর্ম, ভণ্ডামি, রাজনৈতিক সংস্কার এবং শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কৌতুকেরও অভাব নেই এই উপন্যাসে।
২১.To the Lighthouse ( টু দ্য লাইট হাউজ)
এই উপন্যাসটি ১৯২৭ সালের দিকে রচিত। ভার্জিনিয়া ওলফ এই বইটিতে রামসে নামক ব্যক্তির পরিবারের কথা তুলে ধরেন। কিভাবে তারা লন্ডন শহরের যান্ত্রিকতা থেকে দূরে গিয়ে ছুটি কাটাতে স্কটল্যান্ডে যান তাই তুলে ধরা হয়েছে। বইটির চিত্রকল্প খুবই সাধারণ মনে হয় প্রথমে, কিন্তু এর গভীরতা অনেক। এই বইটিকে লেখিকার সেরা লেখার মধ্যে একটি বলা হয়। কেননা এটির চিত্রকল্প সাধারণ হলেও এতে তুলে ধরা হয়েছে জীবনের ছোট ছোট মুহূর্ত। এই ছোট ছোট মুহূর্তগুলো জীবনে বেঁচে থাকার খোঁড়াক যোগায়। আর এই বইটিতে খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে কিভাবে জীবনের ছোট ছোট খুশী একজন মানুষকে বাচিয়ে রাখে, কিভাবে তাকে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলে। যদি বইটি পড়ার লিস্টে না থাকে তাহলে এখনই লিখে রাখেন এবং পড়ে ফেলুন।
২২.Song of Solomon
এই বইটি রচনার পর টনি মরিসন একই সাথে দুইটি এওয়ার্ড লাভ করেন। প্রথমে জাতীয় বই এওয়ার্ড এবং পরবর্তীতে ১৯৭৭ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। এই উপন্যাসটিতে তিনি একজন মানুষ কিভাবে নিজের অস্তিত্বের জন্য লড়াই করে যায়, নিজেকে সবার সামনে তুলে ধরার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে, সবচেয়ে বড় কথা কিভাবে সবার ভালোবাসা পাওয়ার জন্য যুদ্ধ করে যায় তাই ফুটিয়ে তুলেছেন।
২৩.The Joy Luck Club
এমি ট্যন তার প্রথম উপন্যাস লিখেই বাজিমাত করেন। এটি প্রকাশিত হয় ১৯৮৯ সালে। এই উপন্যাসে লেখিকা চারজন চীনা অভিবাসী মেয়ের এবং, তাদের আমেরিকায় জন্ম নেয়া মেয়েদের সাথে সম্পর্ক তুলে ধরেছেন। এই উপন্যাসটি জাতীয় বই এওয়ার্ড এর জন্য চূড়ান্ত মনোনীত হয়। ট্যান তার উপন্যাসে পরিবার, ভালোবাসা, নারীত্বের কথা বলেন সাথে তিনি একজন মায়ের ও কথা উল্লেখ করেন যেখানে মায়েরা কখনও নৈতিক দায়িত্ব ভুলেন না।
২৪.The Color Purple
১৯৮২ সালে অ্যালিস ওয়াকার রচিত এই উপন্যাস একটি জাতীয় গ্রন্থ পুরস্কার এবং কল্পবিজ্ঞান জন্য একটি পুলিৎজার পুরস্কার লাভ করে। এবং এই বই এর অনুকরণে তৈরী একটি চলচ্চিত্র ১৯৮৫ সালে অস্কারের জন্য মনোনীত হয়। এই উপন্যাসটির ভাষা এতটাই তীব্র যে, আমেরিকাতে তার সহিংসতা এবং ভাষার কারণে নিষিদ্ধ গ্রন্থের তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়। বইটি ১৯৩০ সালের দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রামীণ এলাকায় বসবাসরত নারীদের কে নিয়ে লেখা। যেমন এখানে বর্ণবাদী, ধর্ম, প্রেম, বিবাহ এবং যৌন পরিচয় ইত্যাদির মতো গুরুতর থিমগুলো সরবরাহ করে।
২৫.White Teeth
ব্রিটিশ লেখক জাদি স্মিথের এই ২,০০০টি পুরস্কার-বিজয়ী আত্মপ্রকাশ উপন্যাস দুজন বন্ধুবান্ধবের কাহিনী বর্ণনা করে, যাদের জীবন চিরকাল পরস্পরবিরোধী। গল্পের কাহিনী খুব দ্রুত জাতিগত, এবং ধর্ম থেকে সমাজ, বর্গ সংগ্রাম, এবং পরিচয় সহ সবকিছু স্পর্শ করে। এই ভারী বিষয়ের উপন্যাসের জটিল বিশ্লেষণটি আরও বেশি অসাধারণ যদি আপনি এই বিষয়টি বিবেচনা করেন যে স্মিথ মাত্র ২৪ বছর বয়সে এটি লিখেছিলেন।
২৬.The Liar’s Club
১৯৯৫ সালে তার স্মৃতিকথার উপর ভিত্তি করে, লেখক মেরি কর তার শৈশব কাহিনীর কথা এই বইটিতে বর্ণনা করেন। ‘৬০এর দশকের পূর্ব টেক্সাসের একটি তেলের শহরে তাঁর বেড়ে ওঠা। বইটিতে তিনি তার মদ্যপগত কিন্তু কঠোর পরিশ্রমী পিতা, তার গোপন এবং পিতা-মাতা ও তার পুরানো বোনের সাথে তার জটিল সম্পর্কের ব্যাপারে বর্ণনা করেন। এটা একটি ভীতিকর কিন্তু হাস্যকর অনুস্মারক যে যখন পরিবারের ব্যাপার আসে তখন, ট্রাজেডি এবং কমেডি মধ্যে একটি সূক্ষ্ম লাইন লক্ষ্য করা যায়।
২৭.The Handmaid’s Tale
বিজ্ঞান কথাসাহিত্য এবং “ফটকামূলক” উপন্যাসের মিশ্রণ, কানাডার লেখক মার্গারেট এটউডের এই পুরস্কার-বিজয়ী ডাইস্টোপিয়ান ১৯৮৫ সালে রচনা করেন। এই সমালোচকদের প্রশংসিত উপন্যাসে, ভবিষ্যৎ সমাজে নারীদের তাদের পরিচয় ছিন্ন করা হয় এবং তাদের পুরুষ মালিকদের দাসত্বে আটকে রাখা হয় এবং শুধুমাত্র তাদের নিজের স্মৃতির ক্ষমতার মাধ্যমেই ভালোবাসা অনুভব করতে পারবে।
২৮.Frankenstein
১৮১৬ সালে ১৮ বছর বয়সী মেরি উইলস্টকাস্ট্রাক্ট গডউইন তার হবু স্বামী পার্সি শেলি এবং কবি লর্ড বায়রন সহ কয়েকটি পুরুষ সাহিত্যিকের সাথে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। তখন শেলি দলের সবাইকে ভূতের গল্প বলতে বলে। যার যত সাহস সে তত বেশী ভয়ংকর গল্প বলবে। তখনই মরিয়ম শেলি ইংরেজ সাহিত্যের কিংবদন্তি ও স্থায়ী গল্পের একটি রচনা ফ্যাংকেস্টাইন রচনা করেন।
২৯.If Life is a Bowl of Cherries, What Am I Doing in the Pits?
জেনি লসন, টিনা ফেই এবং এমি পোহেলারের মতো কমেডিক মায়েরা আগে আমাদের তাদের কাহিনীর মাধ্যমে হাসাতো। এর্মো বোমবেক একজন কলামিস্ট তার সাফল্য খুঁজে পায় ১৯৭০-৮০ এর দশকে। তার কর্মজীবনের সময়, বোম্বেক ১৯৭৮ সালের ৪ হাজার দৈনিক পত্রিকার কলাম এবং ১৫ টি বই প্রকাশ করেন।
৩০.A Wrinkle in Time
আমেরিকান লেখক ম্যাডেলিন ল ‘এঙ্গেল এই উপন্যাসটি রচনা করেন। প্রকাশিত হয় ১৯৬২ সালে। এটি একটি বৈজ্ঞানিক উপন্যাস উপন্যাসের নায়ক হিসেবে একটি যুবতী নারীকে চিত্রিত করে, যা তখনকার সময়ে বাস্তবিকই অনুপস্থিত ছিল। ১৯৬৩ সালে নিউবারিও পদক জিতেছে।
0 Comments