মানবজনম
- সাদাত হোসাইন
- সাদাত হোসাইন
বইয়ের নামঃ মানবজনম
লেখকঃ সাদাত হোসাইন
ধরণঃ সামাজিক
পৃষ্ঠাঃ ৫২৮
লেখকঃ সাদাত হোসাইন
ধরণঃ সামাজিক
পৃষ্ঠাঃ ৫২৮
![]() |
মানবজনম |
সাদাত হোসেন এর মানব জন্ম উপন্যাসের রিভিইউ
ফতেহপুরের খাঁ বংশের অন্যতম পুরুষ তৈয়ব উদ্দিন খাঁ বড়ই কঠিন লোক। তার ষাট বছরের ছেলে খবির খাঁ তার কাছে এখনো বাচ্চা । তার দুই বিয়ে । প্রথম ঘরে দুই খবির খাঁ ও দবির খাঁ। শেষের ঘরে এক মেয়ে কোহিনূর।
কোহিনূর খুব ই আত্মনিমগ্ন মেয়ে ছিল। তার বাবা তাকে খুব ভালোবাসে। সেও শুধু তার বাবা ও তার শিক্ষক ছাড়া অন্য কারো সাথে মিশতো না। যার জন্য তার সম্পর্কে গ্রামে তৈরী হয়েছে নানা মিথ।
সেই কোহিনূরকে তিনি একদিনের মাঝে বিয়ে দিয়ে পাঠিয়ে দিলেন ঢাকায়। কিন্তু কেন?
অনেক বছর পর কোহিনূরের ছেলে এসে খুঁজতে থাকে আবদুল ফকির নামক ওঝাকে। যে নিজেকে বিভিন্নভাবে করে তুলেছে রহস্যময়।
কি তার রহস্য ? নয়নের সাথেই বা আবদুল ফকিরের কি কাজ?
কি তার রহস্য ? নয়নের সাথেই বা আবদুল ফকিরের কি কাজ?
তৈয়ব উদ্দিন খাঁ নিজেও দুবার মারতে গেলেন আবদুল ফকিরকে কিন্তু তাকে মারতে গিয় মারলেন বজলু ব্যাপারীকে। তারপর কি হলো?
এদিকে আবদুল ফকিরের মেয়ে পারুলের তার বান্ধবি লতার শহরের ছেলের সাথে প্রেমের কাহিনী শুনে তার নিজের ঈর্ষা হতো। তাই নয়নকে দেখেই নয়নের প্রেমে পড়ে
যায় পারুল।
যায় পারুল।
কিন্তু নয়নের একটা শীতল সম্পর্ক আছে হেমার সাথে। শীতল বলছি এই জন্য যে হেমা বেশিরভাগ জিনিস শেয়ার করে তাঁকে ভালোবাসা তার সহপাঠী রাহাত কে।
শেষ পর্যন্ত হেমা-রাহাত নাকি হেমা-নয়ন মিলন হয়?
আবদুল ফকিরের সাথে নয়নের কি ঘটনা ঘটে?
আবদুল ফকিরের সাথে নয়নের কি ঘটনা ঘটে?
তা জানার জন্য আপনাকে পড়ে যেতে হবে শহর ও গ্রামের বিভিন্ন গল্প নিয়ে চলতে থাকা উপন্যাসটির শেষ পর্যন্ত।
পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ উপন্যাসটি খুবই দীর্ঘ করা হয়েছে। মানে শুধু দীর্ঘ করার জন্য অনেকগুলো প্লট আনা হয়েছে মনে হল।
উপন্যাসটির প্রথম ১৫০ পর্যন্ত পড়ে মনযোগ ধরে রাখা খুবই কঠিন। এতগুলো প্লটে বিরক্তি চলে এসেছে। এরপর ধীরে ধীরে কাহিনীর ভিতরে ঢুকে যাওয়ার পড় পরার গতি বেড়েছে।
উপন্যাসটির প্রথম ১৫০ পর্যন্ত পড়ে মনযোগ ধরে রাখা খুবই কঠিন। এতগুলো প্লটে বিরক্তি চলে এসেছে। এরপর ধীরে ধীরে কাহিনীর ভিতরে ঢুকে যাওয়ার পড় পরার গতি বেড়েছে।
আমি প্রথমদিন ১১৬ পৃষ্ঠা পড়ছি অনেক কষ্টে। তারপর আর ইচ্ছে হয়নি। দুইদিন পর একদিনেই বাকি ৪১০ পৃষ্ঠা পড়লাম।
লেখক হাওড় অঞ্চলের অজপাড়া গ্রাম ও শহরের বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের মানসিক চিন্তা-চেতনা তুলে ধরতে চেয়েছেন বিভিন্ন কাহিনীতে।
কিন্তু শেষ করার পর হতাশ হয়েছি । দুটো কারন হতে পারে।
প্রথমত, তেমন তথ্য ছিলনা যা শেষ করার পর আপনার মনে থাকবে , শুধু বলে যাওয়া ছিল তবে খুবই সাবলীল ভাষা ছিল এটা ভালো লাগছে।
দ্বিতীয়্ত, শেষ হওয়ার পর অনেক গল্প থাকায় কোন গল্পের অনুভুতিই ধরে রাখা যায় না। প্রায় সবাইকেই খুব বেশি মূল্যায়ন করতে অহেতুক বর্ণনা আসছে বলে আমার মনে হচ্ছে । যার জন্য পাঠক খেই হারিয়ে ফেলবে।
প্রথমত, তেমন তথ্য ছিলনা যা শেষ করার পর আপনার মনে থাকবে , শুধু বলে যাওয়া ছিল তবে খুবই সাবলীল ভাষা ছিল এটা ভালো লাগছে।
দ্বিতীয়্ত, শেষ হওয়ার পর অনেক গল্প থাকায় কোন গল্পের অনুভুতিই ধরে রাখা যায় না। প্রায় সবাইকেই খুব বেশি মূল্যায়ন করতে অহেতুক বর্ণনা আসছে বলে আমার মনে হচ্ছে । যার জন্য পাঠক খেই হারিয়ে ফেলবে।
তবে আপনি প্রথম ১৫০-২০০ পৃষ্ঠা শেষ করতে পারলে বাকিটাতে ডুবে যাবেন।
ব্যাক্তিগত রেটিংঃ ৬/১০ ।
রিভিউদাতাঃ এন জে শাওন ।