Ticker

50/recent/ticker-posts

হিমুর মধ্যদুপুর PDF

Himur Moddho Dupur jpg


বইয়ের নামঃ হিমুর মধ্যদুপুর

লেখকের নামঃ হুমায়ুন আহমেদ

প্রকাশকঃ অন্বেষা প্রকাশন
সাইজঃ ৬ এমবি
মোট পাতাঃ ৯৪ টি
বইয়ের ধরণঃ উপন্যাস
সিরিজঃ হিমু (Himu #১৭)
ফরম্যাটঃ পিডিএফ (PDF)

রিভিউ: হিমুর মধ্যদুপুর 

হিমুর মধ্যদুপুর 
-হুমায়ূন আহমেদ।

এখন মধ্যদুপুর। অদ্ভুত একটা সময়। এই সময়ে মানুষের ছায়া পড়ে না। হিমু একটা গাছ হাতে দাঁড়িয়ে আছে। গাছটার নাম "দুপুর মণি"। ঠিক মধ্যদুপুরে এর ফুল ফোটে। লাল টকটকা সেই ফুল। কথা হচ্ছে, হিমুর পথে পথে হেটে বেড়ানোর কথা, সে কেন দুপুর মণি গাছ হাতে নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকবে? এই গাছ সে কোথায় পেলো? কে দিলো তাকে? কেন দিলো ? বিশেষ কোনো ইতিহাস কি আছে এর পেছনে?

বাদলের বাবা মানে হিমুর বিখ্যাত সেই বোতল খালু এখন মহানন্দে আছেন। পৃথিবীর আনন্দ যজ্ঞে সে অংশগ্রহণ করেছে,এই ব্যাপারটা হিমুকে আবিভূত করেছে। অথচ কয়েকদিন আগেই হিমু,বাদল, বাদলের বাবা আর সন্ধ্যার পর চন্দ্রিমা উদ্যানে কাস্টমারের উদ্দেশ্যে ঘুরে বেড়ায় এমন সন্দেহভাজন এক মেয়ে বন্দী ছিলো ধানমন্ডি থানায়। ডলা খাওয়ার আগে সবাই ছাড়া পেল হিমু বাদে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর। এদিকে থানায় নতুন ওসি খুব কড়া জিনিস, সুতরাং ধরে নেওয়া যাচ্ছে ডলাটাও কড়াই হবে। অথচ বাস্তবে দেখা গেলো ভিন্ন চিত্র। ডলা খাওয়ার বদলে উল্টো হিমুই এখন ওসির স্ত্রী নূপুরের চিকিৎসা করছে! ঘটনা আসলে কি?

যে হারিয়ে যেতে চায়,তাকে হারাতে দিতে হয়। কক কক ধর্মের প্রবক্তা জনাব পল্টু ও হারিয়ে গেছে। প্রশ্ন হচ্ছে তার মতো একজন ভালো মানুষ কেন পালাতে চায়? কেন তারা এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড থেকে হারিয়ে যেতে চায়? কেন তারা একবার হারালে আর খুঁজে পাওয়া যায় না? আসলে তারা কোথায় হারায়? হিমু এসেছিলো তার কাছে কিডনি বিক্রি করতে, একই কাজে রানুও এসেছিলো। ভদ্রলোক হারিয়ে গেলে এদের কিডনি বিক্রির কি হবে? আর তার লকারের অমিমাংসিত রহস্য কে, কিভাবে উদঘাটন করবে? কিংবা তার বেডরুমে টাঙিয়ে রাখা "মাজেলিসা"র কি হবে??মাজেলিসা জিনিসটা কি? এইটা নিয়ে মাজেদা খালারই বা কেন এতো শোক তাপ?

শেষতক হিমুও চাকরি পেলো! ভাবা যায়? শুধু সে-ই না তার সাথে সাথে চাকরি পেলো রানুও। ঘটনা কি! চাকরি রাতারাতি দেশে মামা বাড়ির মোয়া হয়ে গেল নাকি? কিসের চাকরি পেলো তারা?

শহরের বড়ো গুন্ডা কিসলুর পকেটে অস্ত্র,তার সহযোগী সোহাগের পকেটেও অস্ত্র। তাদের টার্গেট হিমু। এদিকে বাদলের বাবার হাতেও পিস্তল। একদিকে সন্ত্রাসী অন্যদিকে পুলিশ আর তাদের সবার উপরে আছে পল্টুর জ্ঞাতি খুড়ো। সে তার হোমিওপ্যাথি চেম্বারে বসে ভয়ংকর সব কলকাঠি নাড়ছে। মাঝখানে অসহায় কিছু মানুষ! হিমু এখন কি করবে? তার কিই বা করার আছে? তার চিরাচরিত হেয়ালি কিংবা মহাপুরুষগিরী কি এখানে কোনো কাজে আসবে?

এখন আপনার যদি মনে হয় এসব প্রশ্নের উত্তর কোনো এক মধ্যদুপুরে বসে জানতে পারলে খারাপ হতো না, তাহলে সুযোগ বুঝে বইটা হাতে নিতে পারেন।

বই বৃত্তান্তঃ হিমুর মধ্যদুপুর বইটা অন্বেষা প্রকাশন থেকে ২০০৯ সালের বই মেলায় প্রথম প্রকাশিত হয়। স্বত্ব অংশে মেহের আফরোজ শাওনের নাম রয়েছে। প্রচ্ছদ এঁকেছে ধ্রুব এষ। ৯৫ পৃষ্ঠার এই বইটার দাম ১৩৫।

মতামতঃ হিমু সিরিজের রিভিউতে মতামত অংশে ভালো লেগেছে, চমৎকার লেগেছে, কিংবা উল্টোটা বলা ছাড়া আর কি লেখা যায়,তা আসলে আমি জানিনা। যুক্তির বাইরের কিছু সমীকরণকে এক সুতোয় বাঁধা কিছু কথাবার্তায় ঠাসা একটা বই এইটা, যা পড়ার সময় যুক্তিহীনতাকে যৌক্তিক বলে মনে হয়। এছাড়া অন্য কোনো মতামত থাকলে নিজেরা কল্পনা করে নিবেন।চাইলে লিখেও দিতে পারেন।

Post a Comment

0 Comments