Ad Code

Responsive Advertisement

বই পড়ার ৫টি সুফল

Book
চিত্র: বই

বই বা গ্রন্থ হলো লিখিত, মুদ্রিত, ও অলঙ্কৃত কাগজ বা চর্মপত্রের সমষ্টি যা এক-ধারে-বাঁধা এবং মলাট-আবৃত। বইয়ের একখন্ড কাগজকে বলে পাতা এবং পাতার একেকটি দিককে বলে পৃষ্ঠা। বইয়ের ইলেকট্রনিক সংস্করণকে বলা হয় ই-বুক। বই বলতে সাহিত্যকর্মও বোঝায় এবং ব্যাপক অর্থে বইয়ে লেখা সবকিছুকে সাহিত্য বলে। প্রাচীনকালে শিলালিপি, পান্ডুলিপি এবং মধ্যযুগে কাগজ আবিষ্কারের পর বইয়ের মাধ্যমে মানুষ জ্ঞান সংরক্ষণ করেছে এবং উত্তর-প্রজন্মে পৌঁছে দিয়েছে। বই মুদ্রিত হয় ছাপাখানায় এবং দোকানে বিক্রি হয়। গ্রন্থাগারে সকলের পড়ার জন্যে বই সংরক্ষণ করে রাখা হয়। বই পড়লে আপনার মানসিক উন্নতি সাধন হবে। ৫টি এখানে আলোচনা করা হলো:
YOU ARE STRONGER THAN YOU THINK



১। মানসিক উত্তেজনা:
বই পড়ার সর্বপ্রথম উপকারিতা হচ্ছে মানসিক উত্তেজনা। এক গবেষণায় দেখা গেছে, অধ্যয়ন Dementia এবং Alzheimer’s নামের  এই রোগ দুটিকে হ্রাস এমনকি প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে। মস্তিষ্ককে সচল রাখলে তা কখনোই তার ক্ষমতা হারাবে না। মস্তিষ্ককে শরীরের একটি সাধারণ পেশী হিসেবে বিবেচনা করে, নিয়মিত ব্যায়াম করলে তা শক্তিশালী এবং ফিট থাকবে।


তোমরা একটি কথা নিশ্চয়ই শুনেছ ‘Use it or lose it’। মস্তিষ্কের ক্ষেত্রেও এ কথাটি প্রযোজ্য। এছাড়া তোমার মস্তিষ্ককে সচল রাখতে বিভিন্ন খেলা খেলতে পারো। যেমন: দাবা কিংবা ধাঁধা মেলানোও যেতে পারে। যা-ই কর না কেন বই পড়ার প্রয়োজনীয়তা ভুলে গেলে চলবে না।

২। মানসিক চাপ হ্রাস:  

কিছু মানুষ তাদের মানসিক চাপ কমাতে ব্যায়ামের আশ্রয় নেয়, কেউ কেউ আবার যোগব্যায়ামের দ্বারস্থ হয় তাদের স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে। জীবনে এমন কোন মানসিক চাপ নেই সেটি যেই পরিমাণই হোক না কেন, যা একটি ভালো গল্প সমাধান করতে পারে না। বই পড়ার মজা হচ্ছে এটি তোমাকে মুহূর্তের মধ্যেই কোন এক অজানা জগতে নিয়ে যাবে কিংবা এমন কোন সময়ে তুমি ভ্রমণ করবে যা তুমি কখনো কল্পনাও করোনি। একটি ভালো অনুচ্ছেদ তোমাকে প্রতিদিনের বাস্তবতা থেকে একটু হলেও রেহাই দেবে। এমনিভাবে তোমার মানসিক চাপ কমিয়ে শেষে তোমার মানসিক প্রশান্তি ফিরিয়ে আনবে।

 ৩। Analytical thinking কে উন্নত করে:
বই পড়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হচ্ছে Analytical thinking কে উন্নত করা। অনেকের কাজের ক্ষেত্রে দেখা যায় Analytical thinking খুব দরকার পড়ে, সেই ক্ষেত্রে বই পড়া খুব কাজে লাগতে পারে। এমনকি কখনো হয়েছে যে তুমি কোন রহস্যমূলক বই পড়ছো এবং পুরো বই পড়ার আগেই তুমি রহস্যটি সমাধান করে ফেলেছো? তার মানে তোমার ভালো দক্ষতা রয়েছে। মানুষের জীবনেও এমন অনেক পরিস্থিতি তৈরি হয় যেখানে Analytical thinking দিয়েই সেসব পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়।

৪। নতুন বিষয় আবিষ্কার করা:
বই পড়ার মাধ্যমে তুমি নতুন কোন বিষয়, নতুন কোন তথ্য কিংবা কোন সমস্যা সমাধান করা অথবা কোন কিছু অর্জন করার নতুন কোন মাধ্যম আবিষ্কার করতে পারো। কে জানে বই পড়ার সুবাদে তোমার পছন্দের তালিকায় নতুন কোন শখ কিংবা নতুন কোন পেশা যুক্ত হয়েছে যেটি শেষে তুমি তোমার পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছো এবং সফলতা অর্জন করেছো। অন্বেষণের শুরু কিন্তু পড়া এবং উপলব্ধির মাধ্যমেই।

৫। আত্মন্নোতিতে সাহায্য করে:
বই পড়া নিজেকে এক উন্নত আমি গঠনে সহায়তা করে। বই পড়ার মাধ্যমেই তুমি এক নতুন পৃথিবী আবিষ্কার করবে। যেই বিষয় নিয়ে তোমার আগ্রহ রয়েছে সেই বিষয়ে তোমার জ্ঞান আরও বৃদ্ধি করতে পারবে। বই পড়ার মধ্য দিয়েই তুমি তোমার অন্তরদৃষ্টির একটি সুগঠিত পন্থা এবং ভবিষ্যতের উত্তম কর্ম নির্ণয় করতে সক্ষম হবে। 
Quote
Reading is to the mind
“Reading is to the mind, what exercise is to the body” – এই কথাটির মধ্যেই বই পড়ার গুরুত্ব বোঝা যায়। ব্যায়াম যেমন আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে তেমনি বই পড়ার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের মনকে সুস্থ এবং প্রফুল্ল রাখতে পারি। আসলে বই পড়ার আনন্দ কখনোই শব্দ দিয়ে প্রকাশ করা সম্ভব নয় এটি শুধু অনুভব করা যায় অভিজ্ঞতা দ্বারা।

Post a Comment

0 Comments

Close Menu