Ad Code

Responsive Advertisement

নিমাই ভট্টাচার্য এর বই সমূহ PDF

২৪ টি বইয়ের ই-বুক আছে

বাংলা সাহিত্যের এই খ্যাতিমান ঔপন্যাসিক নিমাই ভট্টাচার্য ১৯৩১ সালের ১০ এপ্রিল কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর আদি নিবাস তৎকালীন যশোর জেলার মাগুরা মহকুমার (বর্তমান জেলা) শালিখা থানার অন্তর্গত শরশুনা গ্রামে। তাঁর পিতারনাম সুরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। নিমাই ভট্টাচার্য বাংলাদেশের বগুড়া জেলার কালীতলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ীর কন্যা দীপ্তি ভট্টাচার্যকে বিবাহ করেন। কলকাতার টালিগঞ্জের শাশমল রোডের বাসায় বসবাস করতেন তিনি।
শিক্ষাজীবন: নির্মম অদৃষ্ট সাড়ে তিন বছর বয়সে তিনি মাতৃহীন হন। পিতার সীমিত আয়ে অকল্পনীয় দুঃখ কষ্ট অভাব অভিযোগের মধ্যে ভর্তি হলেন কলকাতা কর্পোরেশন ফ্রি স্কুলে। কলকাতা রিপন স্কুলে কিছুদিন তিনি পড়াশুনা করার পর যশোরে ফিরে আসেন। ১৯৪১ সালে যশোর সম্মিলনী ইনস্টিটিউশনে চতুর্থ শ্রেণীতে ভর্তি হন এবং নবম শ্রেণী পর্যন্ত সেখানে পড়াশুনা করেন। তাঁর পিতা সুরেন্দ্রনাথ বাবুও এক সময় সম্মিলনী ইনস্টিটিউশনের ছাত্র ও পরবর্তীতে শিক্ষক ছিলেন। দেশ বিভাগের পর নিমাই ভট্টাচার্য পিতার সঙ্গে কলকাতায় চলে যান এবং পুনরায় কলকাতায় রিপন স্কুলে ভর্তি হন। সেখান থেকেই তিনি ১৯৪৮ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন। এরপর তিনি কলকাতা রিপন কলেজে ভর্তি হন এবং রিপন কলেজ থেকে আই. এ পাশ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৫২ সালে তিনি বি. এ পাশ করেন।
সাহিত্যকর্মঃ জীবনের টানে, জীবিকার গরজে কক্ষচ্যুত উল্কার মত এশিয়া-আফ্রিকা ইউরোপ-আমেরিকা, গ্রাম-গঞ্জ, শহর-নগর ঘুরে বেড়িয়েছেন নিমাই ভট্টাচার্য। যারা তাঁকে ভালবেসে কাছে নিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে লেনদেন হয়েছে হাসি-কান্না, স্নেহ-প্রেম ভালবাসার। হঠাৎ করেই একদিন তাঁদের কথায় লিখতে শুরু করলেন গল্প-উপন্যাস। দরিদ্রতা নিমাই ভট্টাচার্যকে পরাভূত করতে পারেনি। ক্ষয় করতে পারেনি তাঁর সৃষ্টিশীল প্রতিভাকে। পরম উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে ভাগ্যের সঙ্গে পাঞ্জা কষেছেন তিনি। সাংবাদিকতার মাধ্যমেই তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়। কিন্তু প্রথম অবস্থায় সেখানেও তিনি ভাগ্যের বিড়ম্বনার স্বীকার হন। পুরো এক বছর বেগার খাটার পর মাসিক দশ টাকা ভাতা হয়,তাও আট আনা এক টাকার কিস্তিতে। নিমাই ভট্টাচার্যের সাহিত্য চিন্তা তাঁর জীবনচর্চার একান্ত অনুগামী হয়ে দেখা দিয়েছে। ১৯৬৩ সালে তাঁর লেখা একটি উপন্যাস কলকাতার সাপ্তাহিক ‘অমৃতবাজার’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় এবং সাহিত্যামোদীদের নিকট ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করে। পরবর্তীকালে ‘রাজধানী নৈপথ্য’ রিপোর্টার. ভি. আই. পি এবং পার্লামেন্ট স্ট্রিট নামক চারখানি উপন্যাস ঐ একই পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।এরপর থেকে সাংবাদিকতার পাশাপাশি নিমাই ভট্টাচার্য পূর্ণোদ্যমে আরো আরো উপন্যাস লেখা শুরু করেন। নিমাই ভট্টাচার্যের লেখা উপন্যাসগুলোতে বিষয়গত বৈচিত্র্যতার ছাপ প্রস্ফূটিত হয়ে উঠেছে। কোন কোন উপন্যাসে তিনি রাজধানীর অন্দর মহলের অন্ধকারে লুকিয়ে থাকা অভিজাত সমাজের কুৎসিত রূপের চিত্র তুলে ধরেছেন। কোথাও নীচু তলার মানুষের সুখ-দুঃখের জীবনকাহিনী চিত্রিত হয়েছে। তাঁর লেখায় কোথাও কোথাও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদও লক্ষ্য করা যায়। আবার অনেক উপন্যাসে সোনালী আনন্দ দিনের বিলাপ লক্ষ্যণীয়। তাঁর লিখিত উপন্যাসগুলো সাহিত্যরস সমৃদ্ধ ও সুখপাঠ্য। তথ্য সূত্রঃ যশোরের যশস্বী, শিল্পী ও সাহিত্যিকলেখকঃ কাজী শওকত শাহীসম্পাদনা : মোঃ হাসানূজ্জামান বিপুলতথ্য ও ছবিসূত্রঃ যশোর ডট ইনফো
গ্রন্থসমূহঃ সংকলন/সমগ্র/অমনিবাস
অনেক দিনের মনের মানুষ - নিমাই ভট্টাচার্যের চারটি হৃদয়স্পর্শী উপন্যাসের সংকলন।
১) অন্যদিন ২) ভায়া ডালহৌসি ৩) যৌবন নিকুঞ্জে ৪) পথের শেষে
পাঁচটি রোম্যান্টিক উপন্যাস ১) এ-ডি-সি ২) ডিপ্লোম্যাট ৩) সোনালী ৪) প্রিয়বরেষু ৫) ব্যাচেলর
একক বইসমূহঃ
01.মেমসাহেব
02.মৌ
03.প্রেয়সী
04.বউ বাজারের বৌদি
05.ইমন কল্যান
06.ডিপেস্নাম্যাট
07.মিনিবাস
08.মাতাল
09.ইনকিলাব
10.ব্যাচেলার
11.ডিফেন্স
12.কলোনী
13.প্রবেশ নিষেধ
14.কেরানী
15.ভায়া ডালহৌসী
16.হকার্স কর্নার
17.রাজধানী এক্সপ্রেস
18.নিমন্ত্রণ
19.নাচনী
20.অ্যাংলো ইন্ডিয়ান
21.ডার্লিং
22.ম্যাডাম
23.ওয়ান আপ-টু-ডাউন
24.গোধুলিয়া
25.প্রিয়বরেষু
26.আকাশ ভরা সূর্য তারা
27.মোগল সরাই জংশন
28.ইওর অনার
29.ককটেল
30.অনুরোধের আসর
31.যৌবন নিকুঞ্জে
32.শেষ পরানির কড়ি
33.হরেকৃষ্ণ জুয়েলার্স
33.পথের শেষে
34.প্রেমের গল্প
36. চীনাবাজার
37. স্বার্থপর
38. জার্নালিস্টের জার্নাল
39. রাগ আশাবরী
40. উইং কমান্ডার

Post a Comment

0 Comments

Close Menu