বইয়ের নামঃ হলুদ হিমু কালো র্যাব
লেখকের নামঃ হুমায়ুন আহমেদ
প্রকাশকঃ অন্যপ্রকাশ
সাইজঃ ৬ এমবি
মোট পাতাঃ ৯৫ টি
বইয়ের ধরণঃ উপন্যাস
সিরিজঃ হিমু #১৪
ফরম্যাটঃ পিডিএফ (PDF)
রিভিউ
বই:- হলুদ হিমু কালো র্যাব
লেখক:- হুমায়ূন স্যার
প্রকাশনী:- অন্য প্রকাশ
ধরন:- সমকালীন উপন্যাস
রকমারি মূল্যঃ ১৫০ টাকা
রকমারি লিংক:
https://www.rokomari.com/book/977
আজ হুমায়ূন স্যারের জন্মদিন। তাই প্রথমে হিমু সমগ্র হাতে নিয়ে আমার লক্ষী পুচকে মামুনিকে (ফুপাতো ভাইয়ের মেয়ে। যাকে ফুপাতো মেয়ে ডাকি।) বললাম কোন গল্পটা শোনতে চাও???? নাম গুলো পড়ে শোনালে সে এই নামটি পছন্দ করে। এবং শেষ পর্যন্ত শোনে।
হিমুর হলুদ পাঞ্জাবিতে কোন পকেট নেই। পকেট না থাকলে টাকা না থাকাটাও স্বাভাবিক। এক সন্ধ্যায় হিমু রাজমণি ঈশা খাঁ হোটেলের সামনের একটি বই নিয়ে ফুটপাতে বসে আছে। হকাররা আজকাল ফুটপাতে চা কফি বিক্রি করা শুরু করেছে। কফি বিক্রেতা ছোট এক বাচ্চা, বয়স নয় দশ বছর হবে। হিমু বেশ আয়েশ করে সে কফি খাচ্ছে। কফিটা বেশ সুস্বাদু হয়েছে। । হিমু এখনও কফির দাম দেয়নি।কফির দাম ৫টাকা। কিন্তু হিমুর পকেটে কোন টাকা নেই। সে ভাবছে কিভাবে কফির দাম দেবে। হিমু ছেলেটির সাথে ভাব করার চেষ্টা করলো। কিন্তু তার সব চেষ্টাই ব্যর্থ হলো। ছেলেটি অনবরত টাকা চেয়েই যাচ্ছে। এক পর্যায়ে হিমু স্বিকার করে তার কাছে টাকা নেই। তখন ছেলেটি ধামকি দিতে শুরু করে।
তখন সামনের হোটেলের দারওয়ান চলে আসে। হিমু কফি খাওয়ার কথা অস্বীকার করলে দারওয়ান ছেলেটিকে ধমক দিয়ে বলে "এখানে আর চা কফি বিক্রি করতে দেবে না"। তখন দারওয়ানকে ঠান্ডা করার জন্য হিমু ছেলেটিকে বলে দারওয়ানকে এক কাপ চা খাওয়াতে। ছেলেটি দারওয়ানকে চা দিতে গেলে আরও বকা খায়। ছেলেটি ভয়ে তার সব কিছু রেখে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। ছেলেটি ফিরে না আসায় হিমু তার সব কিছু নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাকে খুঁজতে যায়। কিন্তু কোথাও তাকে না পেয়ে হিমু নিজে চা কফি বিক্রি করা শুরু করেন।এমন সময় হিমুর খালার সাথে দেখা হয়। হিমুর খালা তার কাছ থেকে তিন কাপ চা খায়। এরপর হিমু কাওরানবাজারে যায় ছেলেটিকে খুঁজতে কিন্তু সেখানেও পায় না। সেখানে র্যাবের কাছে বন্ধী হয় হিমু। হিমুকে সন্দেহজনক ভাবে আটক করা হয়। শেষ পর্যন্ত কি হবে হিমুর? হিমু কি পারবে তার নিজস্ব ভঙ্গিমায় আইনের জাল ভেদ করতে? জানতে হলে পড়তে হবে "হলুদ হিমু কালো র্যাব" বইটি।
পাঠ প্রতিক্রিয়া: হিমু সিরিজ আমার খুব একটা ভালো লাগে না। তবে এই বইটি অসাধারণ। যখন মন খারাপ হবে তখন এই বইটি আবার পড়বো। আমার ফুপাতো মেয়ে, সরি সরি আমার ফুপাতো ভাইয়ের মেয়ে যাওয়ার সময় বলে গেছে সে আবার শুক্রবার আসবে তখন যাতে তাকে আবার বইটি পড়ে শোনাই।
রিভিউ ২
১২ নভেম্বর ২০১৮
বইঃ হলুদ হিমু কালো র্যাব
লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
প্রকাশনীঃ অন্য প্রকাশ
ধরনঃ সমকালীন উপন্যাস
পৃষ্ঠাঃ ৯৫
মূল্যঃ ১৫৬টাকা .
বাংলাদেশের জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের অসাধারণ সৃষ্ট চরিত্রগুলোর মধ্য হিমু অন্যতম।হুমায়ূন আহমেদকে চেনে অথচ হিমুকে চেনেনা এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর।হিমুর প্রথম উপন্যাস ময়ূরাক্ষী।হিমু পড়ে হিমু হতে চেয়েছে এমন সংখ্যা অসংখ্য।হিমু অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি চরিত্র। .
রিভিউঃ হিমু একটি রুমে হাতল বিহীন কাঠের চেয়ারে বসে আছে।মোটেও নড়াচড়া করতে পারছেনা।কারণ তার হাত পেছনের দিকে বাঁধা।ব্রজ আঁটুনি।তার সামনে একটা টেবিল।টেবিলের ওপাশে তিনজন বসে আছে।হিমু এদের ধরণের ভিত্ততে নামও দিয়েছে।ঘামবাবু,হামবাবু ও মধ্যমণি।তিনজনের মধ্য মাঝখানে যিনি বসে আছেন তিনিই হলেন মধ্যমণি।তাঁর হাতে চেঙ্গিস খানের একটা বই।তিনি বইটার ভেতর সাংকেতিক কিছু আছে কিনা ধরার চেষ্টা করছেন।তাই অতি মনোযোগ পড়ছেন।হিমু যে তিনজনের সামনে বসে আছে এরা কিন্তু সাধারণ কেউ না,তারা হলেন র্যাব।এতদিন হিমু পুলিশের কবলে পড়তো,এবার পড়েছে র্যাবের কবলে।সে কিভাবে র্যাবের হাতে পড়লো সেও এক কাহিনী।এদের হাত থেকে হিমু কিভাবে বাঁচবে কে জানে!! অনেক কাণ্ড কারখানার পর কোনরকম ছাড়া পেয়ে সে শুনতে পায় মামলা আরো গুরুত্বর।তার বড় খালু ফ্লাওয়ার নামে এক সুন্দরী মেয়ের প্রেমে পড়েছে।মাজেদা খালার মতে তার খালুর বুড়ো বয়সে ছুকছুকানি করার রোগ হয়েছে।ঝাড়ুপেটা ট্রিটমেন্ট দিলে সব ঠিক হয়ে যাবে।বড় খালুকে হাতেনাতে ধরার জন্য মাজেদা খালা হিমুকে খালুর উপর নজরদারী করার দায়িত্ব দিয়েছেন।একটা মোবাইল দিয়েছেন যাতে দুজনের ছবি তুলে রাখে এবং কিছুক্ষণ পরপর কি হয়েছে জানায়।খালুর উপর নজরদারী করতে গিয়ে হিমু পুরোপুরি গোয়েন্দা বনে গেল।তাকে পুরোদস্তুর ছদ্মবেশ নিতে হয়েছে। এদিকে আবার মাজেদা খালা ঠিক করলেন এবার হিমুর বিয়ে দিয়েই ছাড়বেন।এভাবে আর রাস্তায় ঘুরাঘুরি চলবে না।বিয়ে হলে সব ঠিক হয়ে যাবে।তিনি মেয়েও ঠিক করে ফেলেছেন।মেয়ে চাইনিজ কিন্তু ভারী লাজুক ও মিষ্টি।কার্ড ছাপানোও হয়ে গেছে।বিলি করা হচ্ছে। তবে কি অবশেষে হিমুর সন্ন্যাস জীবনের পরিসমাপ্তি হতে চলল?হিমুর বিয়ে কি সত্যিই হয়ে যাবে??
পাঠপ্রতিক্রিয়াঃহিমুর বই পড়ে আমরা সাধারণত সবসময় হিমু বিভিন্ন উক্তি এবং হিমুর বাবারহিমু বলে যাওয়া বাণী সম্পর্কে জানতে পারি।কিন্তু এখানে মাজেদা খালার একটা বাণী আছে যেটা সবার সাথে শেয়ার না করে পারছিনা।সেটা হলো:- "পুরুষ মানুষকে চোখে চোখে রাখতে হয়।চোখের আড়াল হলেই এরা অন্য জিনিস।এরা হলো দড়ি দিয়ে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখার বস্তু।দড়ি যতদূর ছাড়া হবে ততদূর পর্যন্ত এর চড়ে বেড়াবে।এর বাইরে যাবেনা।আমার কাছে এটা অসাধারণ লেগেছে।সেই সাথে যারা হিমুকে ভালোবাসেন,কিন্তু বইটা এখনও পড়েননি,তারা তাড়াতাড়ি পড়ে ফেলুন। রেটিং: ৪.৫/৫
0 Comments